• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯

রাজনীতি

বিএনপির কালো পতাকা মিছিল পরাজয় বরণের মিছিল: কাদের

  • ''
  • প্রকাশিত ২৬ জানুয়ারি ২০২৪


কালো পতাকা মিছিলের মাধ্যমে বিএনপি নিজেদের পরাজয়ের জানান দিচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটা হলো শোক পালনের মিছিল।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই মুহূর্তে কোনো আশা নেই মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞাও নেই, ভিসানীতিও নেই, আশায় আশায় দিন চলে যায়, রাত পোহায়। আশাটা আটলান্টিকের ওপারের দিকে তাকিয়ে থাকে।

এ সময় বিএনপি কালো পতাকা মিছিলকে পরজয়ের কর্মসূচি অভিহিত করে তিনি বলেন, তাদের এখন কালো পতাকার মিছিল, এটা হলো শোক পালনের মিছিল। কালো পতাকা তো শোকের চিহ্ন, তাহলে তারা নিজেরাই জাতিকে বলে দিচ্ছে আমরা পরাজয় বরণ করছি।

বিএনপি শোকে শোকে তারা পাথর হয়ে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা আন্দোলন করবে জনতার ঢল নামবে এসব শুনে ঘোড়াও হাসে। নিজেদেরকে নিজেরাই ভুয়া বানিয়ে ফেলছে বিএনপি।

তিনি বলেন, নির্বাচন না করে তারা কত বড় ভুল করেছে, তা অচিরেই বুঝতে পারবে। দাবি করা হচ্ছে-বিএনপির ২৫ হাজার নেতাকর্মী জেলে আছে। যারা ট্রেনে আগুন দিয়েছে, বাসে আগুন দিয়েছে, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এবং প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে-তারাই জেলে গেছে। এরা আইনের সাথে ফেস করুক।

অপরাধ করে শাস্তি হবে না কেন, সেই প্রশ্ন তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকার কথায় আমরা ছেড়ে দেব? এটা কোনো কথা? তাহলে ট্রাম্পের বিচার কেন হচ্ছে না? ৯১টা চার্জে ট্রাম্পের বিচার হচ্ছে না। সেই দেশ আমাদেরকে কীভাবে বলে-অপরাধীরকে ছেড়ে দিতে হবে? আমাদের জেলে এত লোক নেই। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন ১১ থেকে ১২ হাজারের মতো আছে, যারা অপরাধ করে জেলে গেছে। এখন তারা (বিএনপি) জাতিসংঘ দিয়েও বলাচ্ছে। লবিং ভালোই করে। লবিংয়ের ওস্তাদ এই দল।

আন্দোলনের নামে যেকোনো ধরনের সহিংসতা কঠোর হাতে দমন করার কথা জনিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন চালান কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা করবেন, মানুষের রুটি রোজগারে ও গরীব মানুষকে বাধা দেবেন, আন্দোলনের নামে হরতাল অবরোধ, ট্রেনে আগুন, বাসে আগুন, অগ্নিসন্ত্রাস করবেন; এটা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এসব ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অনেক ভোগান্তি দেশে হয়েছে, অবরোধের নামে আপনারা মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। এসব অপকর্ম করলে শাস্তি পেতেই হবে।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, নির্মল কুমার চ্যার্টাজী।

এছাড়া ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads